মাধুরীলতা: এক ভিনদেশী রঙ্গনা

মাধুরীলতা/মধুমঞ্জরী/মধুমালতী মধুমালতীকে মাধবীলতা বলে ভুল করেন না, এমন মানুষের সংখ্যাই বরংচ কম। শুরুর দিকে তো এই আমিও মাধবীলতাই ডাকতাম। পছন্দের ফুল, সে সূত্রেই খানিকটা জানবার প্রয়াস। জেনে বুঝলাম, এ ভারী অন্যায় করে ফেলেছি! নিজের পছন্দকেও ঠিক জানিনা! খানিকটা প্রায়শ্চিত্ত করবারই আকাঙ্ক্ষায় জানতে শুরু করলাম মালতীকে। মালতীর কিন্তু অন্য নামও আছে! তাতেও সে খানিকটা মাধুরী মিশিয়েই রেখেছে; নাম তার মধুমঞ্জুরী,কেউবা ডাকে মাধুরীলতা। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মুগ্ধ হয়েই অজানা মালতীকে স্বদেশী ভেবে মধুমঞ্জুরী নাম দিয়েছিলেন। হিন্দিতে সে রঙ্গন-কা-বেল, লাল চামেলী নামে পরিচিত। মালতীর আদি বাস ছিলো দক্ষিণ আফ্রিকা,ইন্দোনেশিয়া,থাইল্যান্ডে। কেউ কেউ মনে করেন মালতী এসেছে মালয়েশিয়া থেকে। সেখান থেকে অভিযোজিত হয়ে বার্মায়(মায়ানমার)। বার্মার রেঙ্গুনের রেশ ধরেই ইংরেজিতে সে Rangoon Creeper বলে পরিচিত। গ্রীষ্ম-বর্ষায় মাধুরী ফোটে তার প্রাচুর্য নিয়ে। বছরের অন্যান্য সময়েও তার দেখা মেলে বলেই সে বারোমাসী। কুঞ্জ তৈরীতে মালতীর জুড়ি নেই। কি অদ্ভুত সৌন্দর্য তার! লাল,সাদা আর গোলাপি রঙে সে যেন সাজিয়ে রাখে প্রকৃতিকে। সাদা থেকে ...